Computer Networking
COMPUTER NETWORKING BASICS IN BANGLA PART-7: Network Devices
COMPUTER NETWORKING BASICS IN BANGLA সপ্তম পর্বে আপনাকে স্বাগতম। আজকের পর্বে আমরা নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত বিভিন্ন ডিভাইস সর্ম্পকে আলোচনা করব। কোন কোন ডিভাইস কি কাজে ব্যবহার করা হয় এবং এই ডিভাইস সকল কোন লেয়ারে কাজ করে সে সর্ম্পকে আলোচনা করব, ইনশাআল্লাহ্।
তো চলুন শুরু করা যাক :
Network Devices: NIC
NIC– NIC এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Network Interface Card ।কম্পিউটারকে নেটওয়ার্ক এর সাথে সংযুক্ত করার জন্য নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড ব্যবহার করা হয় । এ কার্ডকে ল্যান কার্ড বা নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার কার্ডও বলে।
Hetwork Devices: HUB
HUB– হাব একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস যার মাধ্যমে কম্পিউটারসমূহ পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে। এটি OSI Model এর ডাটালিঙ্ক লেয়ারে কাজ করে । হাব কোন ডিভাইস এর কোন অ্যাড্রেস সংরক্ষন করে রাখে না । কোন ডিভাইস থেকে যখন কোন ডাটা হাব এর কাছে আসে , হাব তখন সেটার কোন কিছু না দেখেই তার সকল পোর্ট দিয়ে সেই ডাটা ট্রন্সমিট করে দেয় ।
সুবিধা-
- দাম কম।
- বিভিন্ন মিডিয়ামকে সংযুক্ত করতে পারে।
অসুবিধা-
- নেটওয়ার্ক ট্রাফিক বৃদ্ধি পায়।
- ডেটা আদান-প্রদানে বাধার সম্ভাবনা থাকে।
- ডেটা ফিল্টারিং সম্ভব হয় না।
Networkd Devices: switch
Network Devices গুলোর মধ্যে সুইচ একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস যার মাধ্যমে নেটওয়ার্কের সার্ভার, ওয়ার্কস্টেশন এবং বিভিন্ন পেরিফেরিয়াল ডিভাইস সমূহ সংযুক্ত থাকে। হাবের সাথে সুইচের পার্থক্য হলো সুইচ প্রেরক প্রান্ত থেকে প্রাপ্ত ডেটা প্রাপক কম্পিউটারের সুনির্দিষ্ট পোর্টটিতে পাঠিয়ে দেয়। সুইচ এ একটি MAC টেবিল থাকে যেখানে সুইচ এর সাথে যুক্ত সকল ডিভাইস এর MAC অ্যাড্রেস সংরক্ষণ করা থাকে ।
সুবিধা-
- ডেটা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হয় না।
- ভার্চুয়াল LAN ব্যবহার করে ব্রডকাস্ট নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
অসুবিধা-
- হাবের তুলনায় মূল্য বেশি।
- ডেটা ফিল্টারিং করা যায়না ।
- কনফিগারেশন তুলনামূলকভাবে জটিল।
Network Devices: Router
Network Devices গুলোর মধ্যে রাউটার- এক কথায় বলা যায় এক নেটওয়ার্ক থেকে আরেক নেটওয়ার্কে ডেটা পাঠানোর পদ্ধতিকে বলা হয় রাউটিং। আর রাউটিংয়ের জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস হলো রাউটার। বোঝানোর জন্য একটু বেশি কথা বলতে হয়। এটি একটি বুদ্ধিমান ইন্টারনেটওয়ার্ক কানেকটিভিটি ডিভাইস যা দুই বা ততোধিক নেটওয়ার্কের মধ্যে ডেটা আদান-প্রদানের ব্যবস্থা করে। ডেটা উৎস ও গন্তব্যের উপর ভিত্তি করে রাউটার ডেটা স্থানান্তরের জন্য সহজ, নিরাপদ ও কম দূরত্বের পথটি বেছে নেয়। এটি LAN , MAN এবং WAN এ তিন ধরণের নেটওয়ার্কেই কাজ করে।
রাউটারের সুবিধাসমূহ:
- ডেটা ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে সমস্যা কমায়।
- ডেটা ফিল্টারিং সম্ভব হয়।
- বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্ক যেমন-ইথারনেট, টোকেন, রিং ইত্যাদিকে সংযুক্ত করতে পারে।
রাউটারের অসুবিধা:
- রাউটারের দাম বেশি।
- রাউটার একই প্রোটোকল নেটওয়ার্ক ছাড়া সংযুক্ত হতে পারে না।
- কনফিগারেশন তুলনামূলক জটিল।
Network Devices: Modem
Network Devices গুলোর মধ্যে মডেম হচ্ছে একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস যা কম্পিউটারের তথ্যকে আরেক কম্পিউটারে টেলিফোন লাইনের মাধ্যমে পৌঁছে দেয়। মডেম শব্দটি Modulator ও Demodulator সংক্ষিপ্তরূপ। Modulator এর কাজ হচ্ছে ডিজিটাল সিগন্যালকে অ্যানালগ সিগন্যালে রূপান্তর করা এবং Demodulator এর কাজ হচ্ছে অ্যানালগ সিগন্যালকে ডিজিটাল সিগন্যালে রূপান্তর করা।
Network Devices: Repeater
Network Devices গুলোর মধ্যে রিপিটার- নেটওয়ার্ক মিডিয়ার মধ্য দিয়ে ডেটা সিগনাল প্রবাহের সময় নির্দিষ্ট দূরত্ব অতিক্রম করার পর সিগনাল আস্তে আস্তে দূর্বল হয়ে পড়ে। তখন এই সিগনালকে এমপ্লিফাই বা শক্তিশালী করে গন্তব্য পর্যন্ত পৌঁছাতে হয়। সিগন্যালকে এমপ্লিফাই বা শক্তিশালী করার জন্য যে ডিভাইস ব্যবহার করা হয় সেটিই হল রিপিটার ।
Network Devices: Bridge
ব্রিজ- ব্রিজ একাধিক নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করে একটি বৃহৎ নেটওয়ার্ক তৈরি করে। এটি অনেকটা সুইচ বা হাব এর মতো । এক্ষেত্রে পার্থক্য হলো- হাব বা সুইচ একই নেটওয়ার্কের বিভিন্ন নোডকে সংযুক্ত করে অন্যদিকে ব্রিজ একাধিক ছোট নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করে।
Network Devices: Gatway
গেটওয়ে- গেটওয়ে ভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্কসমূহকে যুক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। হাব, সুইচ, রাউটার ইত্যাদি ডিভাইস প্রটোকল ট্রান্সলেশনের সুবিধা দেয় না, কিন্তু গেটওয়ে এ সুবিধা দেয়। ভিন্ন নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হওয়ার সময় এটি প্রটোকল ট্রান্সলেশনের কাজ করে থাকে। কাজের ধরন অনুযায়ী গেটওয়েকে কয়েকভাগে ভাগ করা যায়। এর মধ্যে অন্যতম হলাে অ্যাড্রেস গেটওয়ে, প্রটোকল গেটওয়ে, অ্যাপ্লিকেশন গেটওয়ে ইত্যাদি।