Computer Networking
Computer Networking Basics in Bangla Part-1: What is Computer Networking
কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং কি?
একেবারে সহজ ভাবে বলতে গেলে “এক বা একাধিক কম্পিউটার এর নিজেদের মধ্যে সংযোগ প্রক্রিয়া কে Computer Networking বলা হয়”। তবে বোঝানোর জন্য একটু বেশি কথা বলতে হয় । Computer Networking হচ্ছে একটি ডিজিটাল যোগাযোগ প্রক্রিয়া যেখানে এক বা একাধিক কম্পিউটার, সুইচ, রাউটার, মডেল, প্রিন্টার বা সার্ভার ইত্যাদি তার বা অপটিক কেবল, বা ওয়াইফাইয়ের মতো ওয়্যারলেস মিডিয়া এর মাধ্যমে একে অপরের সাথে কানেক্টেড হয়ে ডাটা এবং হার্ডওয়্যার রিসোর্স শেয়ার করাকে Computer Networking বলে ।
Computer Networking প্রকারভেদ :
মালিকানার ভিত্তিতে Computer Networking এর প্রকারভেদ-
- প্রাইভেট নেটওয়ার্ক
- পাবলিক নেটওয়ার্ক
সার্ভিস প্রদান ও নিয়ন্ত্রন কাঠামোর ভিত্তিতে Computer Networking এর প্রকারভেদ-
- পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক
- ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্ক
- হাইব্রিড নেটওয়ার্ক
ভৌগলিক বিস্তৃতি অনুসারে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর প্রকারভেদ-
- প্যান (PAN)-Personal Area Network
- ল্যান (LAN)- Local Area Network
- ম্যান (MAN)- Metropolitan Area Network
- ওয়ান (WAN)- Wide Area Network
মালিকানার ভিত্তিতে বিভিন্ন কম্পিউটার নেটওয়ার্কের আলোচনাঃ
প্রাইভেট নেটওয়ার্কঃ সাধারণত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার মালিকানাধীন নেটওয়ার্ককে প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বলা হয়। যেকেউ ইচ্ছা করলেই এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারে না। এই ধরণের নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা অত্যন্ত মজবুত থাকে এবং ট্রাফিক সাধারণত কম থাকে। যেমন-
- বিভিন্ন ব্যাংকের নিজস্ব নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা।
- গভর্নমেন্ট অফিসের নিজস্ব নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা ।
পাবলিক নেটওয়ার্কঃ এটি কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা দ্বারা পরিচালিত হয়। তবে যেকেউ চাইলেই অর্থের বিনিময়ে এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারে। উদাহরণস্বরুপ বিভিন্ন মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (ISP) কিংবা টেলিফোন নেটওয়ার্ক সিস্টেম।
সার্ভিস প্রদান ও নিয়ন্ত্রন কাঠামোর ভিত্তিতে বিভিন্ন কম্পিউটার নেটওয়ার্কের আলোচনাঃ
পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্কঃ পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্কে প্রত্যেক ব্যবহারকারী তাদের রিসোর্স অন্যের সাথে শেয়ার করতে পারে। এই ধরণের নেটওয়ার্কে কোনো ডেডিকেটেড সার্ভার থাকে না। প্রতিটি কম্পিউটার একইসাথে সার্ভার এবং ওয়ার্কস্টেশন হিসেবে কাজ করে এবং প্রতিটি মেশিন ডিসেন্ট্রালাইজ থাকে। প্রতিটি কম্পিউটার তার ডেটার নিরাপত্তা বিধানে নিজেই দায়ী থাকে।
ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্কঃ ক্লায়েন্ট-সার্ভার নেটওয়ার্কে কেন্দ্রিয়ভাবে ডেটা স্টোর, নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং বিভিন্ন এপ্লিকেশন চালানো হয়। এই ধরণের নেটওয়ার্কে একটি কম্পিউটারে রিসোর্স থাকে এবং রিসোর্স শেয়ার করে যাকে সার্ভার বলা হয়, আর নেটওয়ার্কের অন্যান্য কম্পিউটার সেসব রিসোর্স ব্যবহার করে তাদেরকে ক্লায়েন্ট বলা হয়। সকল ক্লায়েন্ট একই সার্ভারে লগ-ইন করে এবং সার্ভারের সিকিউরিটি পলিসি মেনে চলে বলে নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। ক্লায়েন্ট-সার্ভার নেটওয়ার্ককে সার্ভার-বেজড নেটওয়ার্কও বলা হয়।
সেন্ট্রালাইজড নেটওয়ার্কঃ সেন্ট্রালাইজড নেটওয়ার্কে একটি কেন্দ্রিয় সার্ভার এবং কিছু টার্মিনাল বা ক্লায়েন্ট নিয়ে গঠিত হয়। কেন্দ্রীয় সার্ভার সকল প্রসেসিং এবং নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণের কাজ করে থাকে। আর টার্মিনাল বা ক্লায়েন্টের মাধ্যমে ব্যবহারকারী সার্ভারে যুক্ত হয়ে সার্ভিস গ্রহণ করে।
ডিস্ট্রিবিউটেড নেটওয়ার্কঃ ডিস্ট্রিবিউটেড নেটওয়ার্ক পরস্পর সংযুক্ত কিছু ওয়ার্কস্টেশন, বিভিন্ন শেয়ারড স্টোরেজ ডিভাইস এবং প্রয়োজনীয় ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস নিয়ে গঠিত। ওয়ার্কস্টেশনগুলোর নিজস্ব মেমোরি স্টোরেজ ও প্রসেসিং ক্ষমতা থাকায় লোকাল কাজ করতে পারে।
ভৌগলিক বিস্তৃতি অনুসারে বিভিন্ন কম্পিউটার নেটওয়ার্কের বিস্তারিত আলোচনাঃ
প্যান (PAN)– প্যান (PAN) এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Personal Area Network। কোনো ব্যক্তির নিকটবর্তী বিভিন্ন ডিভাইসের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে তথ্য আদান-প্রদানের নেটওয়ার্ক সিস্টেমকে PAN বলে। PAN ব্যক্তিগত ডিভাইসগুলোর মধ্যে যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়। PAN এর বিস্তৃতি সাধারণত ১০ মিটার এর মধ্যে প্যান USB বাস এবং Fireware দ্বারা সংযুক্ত হতে পারে।
ল্যান (LAN)– LAN এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Local Area Network। ল্যান স্বল্প পরিসরের জায়গার জন্য ব্যবহৃত হয়। সাধারণত ১০ কি.মি. বা তার কম পরিসরের জায়গার মধ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কম্পিউটার বা অন্যকোনো পেরিফেরাল ডিভাইস (যেমন- প্রিন্টার) সংযুক্ত করে যে নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয় তাকে LAN বলে। এটি সাধারণত স্কুল-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়, কোনোবড় অফিস বিল্ডিংয়ে ব্যবহার করা হয়। এর ট্রান্সমিশন মিডিয়া হিসেবে সাধারণত টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল, কো এক্সিয়াল ক্যাবল বা অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করা হয়।
ম্যান (MAN)– MAN এরপূর্ণরূপ হচ্ছে Metropolitan Area Network। কই শহরের মধ্যে অবস্থিত কয়েকটি ল্যানের সমন্বয়ে গঠিত ইন্টারফেসকে বলা হয় মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক । মাল্টিপাল রাউটার, সুইচ এবং হাব দ্বারা MAN গঠিত।সাধারণত কোনোব্যাংক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন শাখা অফিসের মধ্যে যোগাযোগের জন্য এধরনের নেটওয়ার্ক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
ওয়ান (WAN)– WAN এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Wide Area Network। যে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক অনেক বড় ভৌগোলিক অবস্থান জুড়ে থাকে তাকে ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক বলে।এ নেটওয়ার্ক একটি দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরের সাথে কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়।সাধারণত বিশ্বের বিভিন্ন শহরে অবস্থিত LAN বা MAN বা অন্য কোনো কম্পিউটার ডিভাইসও এ নেটওয়ার্কের সংযুক্ত থাকতে পারে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় WAN এর উদাহরণ হলো ইন্টারনেট।