Computer Networking
COMPUTER NETWORKING BASICS IN BANGLA PART-8: WHAT IS DATA TRANSMISSION?
Data Transmission কি?
Data Transmission বলতে দুই বা ততোধিক ডিজিটাল ডিভাইসের মধ্যে ডেটা স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া বোঝায়। অ্যানালগ বা ডিজিটাল ফরমেট ডেটা এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে স্থানান্তরিত হয়।
Data Transmission Method কি?
ডেটা ট্রান্সমিশন হওয়ার জন্য প্রেরক ও প্রাপকের মধ্যে একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি থাকতে হয়, এই পদ্ধতিকে ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড বা পদ্ধতি বলে। তারের সংযোগের ওপর ভিত্তি করে ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
১। Serial Data Transmission (অনুক্রম ডেটা ট্রান্সমিশন)
২। Parallel Data Transmission (সমান্তরাল ডেটা ট্রান্সমিশন)
Serial Data Transmission কি?
Sender ও Receiver মধ্যে ধারাবাহিক ভাবে একটি বিটের পর অপর বিট চলাচল করলে তাকে অনুক্রম ডেটা ট্রান্সমিশন (Serial Transmission) বলে।
যখন সিরিয়াল ডেটা ট্রান্সমিশন ব্যবহার করে ডেটা Sent বা Received হয়, তখন ডেটা বিটগুলি একটি নির্দিষ্ট আদেশে সংগঠিত হয়, যেহেতু সেগুলি কেবল একের পর এক Sent করা যায়। এটি একটি নির্ভরযোগ্য ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতি হিসাবে দেখা হয় কারণ, পূর্ববর্তী ডেটা বিট ইতিমধ্যে Received হয়ে থাকলে কেবল একটি ডেটা বিট Sent করা হয়।
Bit Synchronization কি?
সিরিয়াল ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে সিগন্যাল পাঠানোর সময় বিভিন্ন বিটের মধ্যে সমন্বয়ের প্রয়োজন হয়। এই সমন্বয় না থাকলে Receiver যন্ত্র ডেটার শুরু ও শেষ বুঝতে পারে না। ফলে ডেটা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয় না। অর্থাৎ সিরিয়াল ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে সিগন্যাল পাঠানোর সময় বিভিন্ন বিটের মধ্যে সমন্বয়ের জন্য ব্যবহৃত পদ্ধতিকে বলা হয় Bit Synchronization।
Bit Synchronization Types
Bit Synchronization উপর ভিত্তি করে Serial Transmission পদ্ধতি তিন প্রকার:
১। অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন (Asynchronous Data Transmission)
২। সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন (Synchronous Data Transmission)
৩। আইসোক্রোনাস ট্রান্সমিশন ( Isochronous Data Transmission)
Asynchronous Data Transmission কি?
অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে ডেটা Sender হতে Receiver ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার পাঠানো হয়। এ ধরনের ট্রান্সমিশনে প্রেরক যে কোনো সময় ডেটা Send করতে পারে এবং Receiver তা গ্রহণ করতে পারে। এক্ষেত্রে ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য Receiver কোন প্রাথমিক স্টোরেজে সংরক্ষনের প্রয়োজন হয় না। প্রতিটি ক্যারেক্টারের শুরুতে একটি Start Bit এবং শেষে একটি Stop Bit পাঠানো হয়। প্রতিটি ক্যারেক্টার পাঠানোর মাঝখানের সময়ের ব্যবধান ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।
অ্যাসিনক্রোনাস পদ্ধতি ব্যবহারের সুবিধা হ’ল ট্রান্সমিটার এবং রিসিভার ডিভাইসের মধ্যে কোনও সিঙ্ক্রোনাইজেশন প্রয়োজন হয় না। এটি আরও বেশি সাশ্রয়ী পদ্ধতি। একটি অসুবিধা হ’ল ডেটা ট্রান্সমিশন ধীর হতে পারে তবে এটি সর্বদা হয় না।
Synchronous Data Transmission কি?
এ পদ্ধতিতে ডেটা Sender হতে Receiver ব্লক আকারে স্থানান্তরিত হয়। প্রথমে Sender স্টেশনে ডেটাগুলো কে প্রাথমিক স্টোরেজে সংরক্ষণ করে নেওয়া হয়। তারপর ডেটার ক্যারেক্টারগুলোকে ব্লক বা প্যাকেট আকারে ভাগ করে প্রতিবারে একটি করে ব্লক বা প্যাকেট ট্রান্সমিট করা হয়। ব্লক ডেটার শুরুতে এবং শেষে যথাক্রমে হেডার এবং ট্রেইলর ইনফরমেশন থাকে। সাধারণত 80 হতে 132 টি বর্ণ নিয়ে এক একটি ব্লক তৈরি হয়। দুটি ব্লকের মাঝখানে সময় বিরতি সমান হয়ে থাকে।
সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের দক্ষতা অ্যাসিনক্রোনাসের তুলনায় বেশি। প্রেরক স্টেশনে একটি প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসের প্রয়োজন হয়, ট্রান্সমিশন গতি অনেক বেশি। প্রতি ক্যারেক্টারের শুরুতে Start bit এবং শেষে Stop bit এর প্রয়োজন হয় না।
Isochronous Transmission কি?
এটি অ্যাসিনক্রোনাস ও সিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশন এর সমন্বিত রুপ, যাকে আবার সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের উন্নত ভার্সনও বলা হয়ে থাকে। এ পদ্ধতিতে ডেটা প্রেরক হতে প্রাপকে ব্লক আকারে স্থানান্তরিত হয়। দু’টি ব্লকের মধ্যে সময়ের পার্থক্য 0 (শূন্য) একক করার চেষ্টা করা হয়।
প্রেরক স্টেশনে একটি প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসের প্রয়োজন হয়, ট্রান্সমিশন গতি অনেক বেশি। প্রতি ক্যারেক্টারের মাঝে বিরতির প্রয়োজন হয় না, এবং ডেটা ব্লক যথাযথভাবে প্রাপক পেয়েছে কিনা তা চেক করা যায় না এবং ভূল সংশোধন করার ব্যবস্থা নেই। কারন এতে প্রতি ক্যারেক্টারের শুরুতে Start bit এবং শেষে Stop bit এর প্রয়োজন হয় না।
Serial Transmission Use
সিরিয়াল ট্রান্সমিশন সাধারণত দীর্ঘ-দূরত্বের ডেটা স্থানান্তরের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি এমন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় যেখানে পাঠানো ডেটার পরিমাণ তুলনা মূলক ভাবে কম। এটি একের পর এক নির্দিষ্ট ক্রমে ডেটা বিট প্রেরণ করার সাথে সাথে ডেটা অখণ্ডতা বজায় থাকে তা নিশ্চিত করে।
Parallel Transmission
Sender ও Receiver মধ্যে Parallel ভাবে ডেটা চলাচল করলে তাকে Parallel Data Transmission বলে। Parallel Transmission ব্যবহার করে ডেটা Send করা হয়, একই সময়ে একাধিক চ্যানেলের মাধ্যমে একাধিক ডেটা বিট Transmit করা হয়। এর অর্থ Serial Transmission পদ্ধতি ব্যবহারের চেয়ে ডেটা অনেক দ্রুত প্রেরণ করা যায়।
একসাথে একাধিক চ্যানেলের মাধ্যমে একাধিক বিট প্রেরণ করা হয়ে থাকে যে বিট স্ট্রিংটি অর্ডার Receive হয় তা বিভিন্ন অবস্থার উপর নির্ভর করে যেমন Data Source, User Location এবং Bandwidth Availability নৈকট্য। সমান্তরাল ইন্টারফেসের দুটি উদাহরণ নীচে দেখা যায়। প্রথম Parallel ইন্টারফেসে, ডেটা প্রেরণ করা হয় এবং সঠিক অর্ডার Receive হয়। দ্বিতীয় Parallel ইন্টারফেসে, তথ্যটি সঠিক অর্ডার প্রেরণ করা হয়, তবে কিছু বিট অন্যদের চেয়ে দ্রুত Receive হয়েছিল।
Advantages and Disadvantages of Using Parallel Data Transmission
Serial Transmission উপর Parallel Transmission প্রধান সুবিধা হ’ল:
১। এটি সহজে প্রোগ্রাম করা;
২। এবং ডেটা দ্রুত Send করা যায়।
যদিও Parallel Transmission ডেটা দ্রুত স্থানান্তর করতে পারে তবে এর জন্য Serial Data Transmission চেয়ে বেশি Transmission চ্যানেল প্রয়োজন। এর অর্থ হ’ল স্থানান্তর দূরত্ব এবং প্রতিটি বিট কত দ্রুত লোড হয় তার উপর নির্ভর করে ডেটা বিটগুলি Sync বাইরে চলে যেতে পারে। একটি সাধারণ উদাহরণ, Voice Over IP (VOIP) কল করার সময় Distortion বা Interference লক্ষণীয়। এছাড়া কোনও ভিডিও স্ট্রিমে ক্ষেত্রে Skipping বা Interference সময়ও দেখা যায়।
Parallel Data Transmission Use
১। বিপুল পরিমাণে ডেটা Send করা জন্য;
২। যে ডেটা Send করা হচ্ছে তা সময় সংবেদনশীল;
৩। এবং ডেটা দ্রুত Send করা প্রয়োজন।
এমন একটি দৃশ্য যেখানে ডেটা প্রেরণের জন্য Parallel Transmission ব্যবহৃত হয় তা হ’ল ভিডিও স্ট্রিমিং। যখন কোন ভিডিও দর্শকের কাছে প্রবাহিত হয়, তখন ভিডিও Pausing বা Buffering রোধ করতে দ্রুত বিটগুলি গ্রহণ করা দরকার। ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের জন্য বড় আকারের ডেটা Transmission প্রয়োজন। এ ছাড়া পাঠানো ডেটা সময় সংবেদনশীল, ধীর ডেটা Streams এর ফলে খারাপ মানের ভিডিও দেখা যায়।