Computer Networking
Computer Networking Basics in Bangla Part-2: What is Network Topology
কম্পিউটার নেটওয়ার্কে কম্পিউটারসমূহ একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে। নেটওয়ার্কে কম্পিউটারগুলো কিভাবে সংযুক্ত আছে তার ক্যাটালগকেই Network Topology বলে ।
কম্পিউটার নেটওয়ার্কে নিম্ন বর্ণিত ছয় ধরণের টপোলজি থাকে। যথা –
- বাস নেটওয়ার্ক টপোলজি ( Bus Network Topology )
- স্টার নেটওয়ার্ক টপোলজি ( Star Network Topology )
- রিং নেটওয়ার্ক টপোলজি ( Ring Network Topology )
- ট্রি নেটওয়ার্ক টপোলজি ( Tree Network Topology )
- মেশ নেটওয়ার্ক টপোলজি ( Mesh Network Topology )
- হাইব্রিড নেটওয়ার্ক টপোলজি ( Hybrid Network Topology )
বাস টপোলজি ( Bus Topology ) কি?
যে টপোলজিতে একটি মূল তারের সাথে সবকয়টি কম্পিউটার সংযুক্ত থাকে তাকে বাস টপোলজি বলা হয়। সংযোগ লাইনকে সাধারণত বাস বলা হয়।
সুবিধা:
- এ নেটওয়ার্কের প্রধান সুবিধা হলো খুব সাধারণ এবং ফিজিক্যাল লাইনের সংখ্যা মাত্র একটি।
- নেটওয়ার্কের ব্যাকবোন বা বাস সহজে বাড়ানো যায়।
- বাস নেটওয়ার্কের কোনো কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে অন্য কম্পিউটারে কাজ করতে কোনো অসুবিধা হয় না।
- সহজেই যে কোনো কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হতে বিচ্ছিন্ন করা সম্ভব।
- বাস নেটওয়ার্কে কম্পিউটার সংযুক্ত করতে কম তারের প্রয়োজন হয় ফলে খরচ কম হয়।
অসুবিধা:
- মূল বাস নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক সিস্টেম অচল হয়ে যায়।
- এই টপোলজিতে ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য কোনো অ্যাডজাস্টমেন্ট ব্যবস্থা নেই। যেকোনো কম্পিউটার যেকোনো সময়ে ডেটা ট্রান্সমিশন করতে পারে।
- নেটওয়ার্কে কম্পিউটার সংখ্যা বেশি হলে ডেটা ট্রান্সমিশন বিঘ্নিত হয়।
- বাস টপোলজিতে সমস্যা নির্ণয় তুলনামূলক বেশ জটিল। বাসের একটি মাত্র স্থানে ত্রুটি বা ব্রেক পুরো নেটওয়ার্ককে অচল করে দেয়।
- ডেটা ট্রান্সমিশনের গতি কম।
স্টার টপোলজি (Star Network Topology) কি?
Star Network Topology নেটওয়ার্কে সবগুলো কম্পিউটার একটি কেন্দ্রীয় নেটওয়ার্ক ডিবাইসের (সুইচ , হাব ) সাথে সংযুক্ত থাকে। কম্পিউটার গুলো হাব (hub) বা সুইচ (switch) এর মাধ্যমে একে অন্যের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে ও ডেটা আদান -প্রদান করে। কোনো কম্পিউটার ডেটা ট্রান্সফার করতে চাইলে তা প্রথমে সব হাব অথবা সুইচে পাঠিয়ে দেয়।
সুবিধা:
- নেটওয়ার্কের কোনো কম্পিউটার নষ্ট হলেও নেটওয়ার্কের বাকি অংশের কাজের সমস্যা হয় না।
- একই নেটওয়ার্কে বিভিন্ন ধরনের ক্যাবল ব্যবহার করা যায়।
- স্টার নেটওয়ার্কে কোনো কম্পিউটার যোগ করা বা বাদ দেয়া হলে, তাতে কাজে কোনো সমস্যা ঘটে না।
- কেন্দ্রীয়ভাবে নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণ বা সমস্যা সমাধান করা সহজ।
অসুবিধা:
- টপোলজি-তে কেন্দ্রীয় কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক সিস্টেমই অচল হয়ে পড়ে।কারণ পুরো নেটওয়ার্ক হাবের মাধ্যমেই পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত থাকে।
- স্টার টপোলজিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যাবল ব্যবহৃত হয় বিধায় খরচ বেশি।
রিং টপোলজি (Ring Network Topology) কি?
Ring Topology তে প্রতিটি কম্পিউটার তার পার্শ্ববর্তী কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত থাকে। এভাবে রিংয়ের সর্বশেষ কম্পিউটারটি প্রথমটির সাথে যুক্ত হয়। রিং টপোলজি নেটওয়ার্কে কম্পিউটারগুলোকে সরাসরি পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে না বিধায় নেটওয়ার্কের কোনো কম্পিউটার অন্য যেকোনো কম্পিউটারে সরাসরি সংকেত পাঠাতে পারে না। এ ধরণের টপোলজিতে প্রতিটি ডিভিাইসে একটি রিসিভার এবং একটি ট্রান্সমিটার থাকে যা রিপিটারের কাজ করে।
সুবিধা:
- নেটওয়ার্কে কোনো সার্ভার কম্পিউটারের প্রয়োজন হয় না। অর্থাৎ এটি এক ধরনের ডিস্ট্রিবিউটেড ডেটা প্রসেসিং সিস্টেম।
- নেটওয়ার্কে কম্পিউটার সংখ্যা বাড়লেও এর দক্ষতা খুব বেশি প্রভাবিত হয় না।
- এ নেটওয়ার্কে কোনো নোডকে ডেটা আদান-প্রদানের জন্য কেন্দ্রীয় কোনো কম্পিউটারের উপর নির্ভর করতে হয় না।
- যদি কোনো কম্পিউটার নষ্ট থাকে তবে সেই কম্পিউটারকে রিং হতে বাদ দেয়া যায়।
অসুবিধা−
- এ নেটওয়ার্কে একটি মাত্র কম্পিউটার সমস্যা হলে পুরো নেটওয়ার্ক অচল হয়ে যায়।
- রিং টপোলজির ক্ষেত্রে নেটওয়ার্কের কোনো সমস্যা করা বেশ জটিল।
- নেটওয়ার্কে কোনো কম্পিউটার যোগ করলে বা সরিয়ে নিলে তা পুরো নেটওয়ার্কের কার্যক্রম ব্যাহত করে।
- এ নেটওয়ার্কে কম্পিউটারের সংখ্যা বাড়লে ডেটা ট্রান্সমিশনের সময়ও বেড়ে যায়।
- রিং টপোলজির জন্য জটিল নিয়ন্ত্রণ সফটওয়্যার ব্যবহৃত হয়।
ট্রি টপোলজি (Tree Network Topology) কি?
যে টপোলজিতে কম্পিউটারগুলো পরস্পরের সাথে গাছের শাখা-প্রশাখার মতো বিন্যস্ত থাকে তাকে ট্রি টপোলজি বলা হয়। মুলত স্টার টপোলজির সম্প্রসারিত রুপই হলো ট্রি টপোলজি। এ টপোলজিতে একাধিক হাব বা সুইচ ব্যবহার করে সমস্ত কম্পিউটারগুলো একটি বিশেষ স্থানে সংযুক্ত করা হয় যাকে বলে রুট ।
সুবিধা-
- অফিস ব্যবস্থাপনার কাজে এ নেটওয়ার্ক টপোলজি খুবই উপযোগী।
- শাখা-প্রশাখা সৃষ্টির মাধ্যমে ট্রি-টপোলজির নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করা সহজ।
- নতুন কোনো নোড সংযোগ বা বাদ দিলে নেটওয়ার্কের স্বাভাবিক কাজকর্মের কোনো অসুবিধা হয় না।
অসুবিধা-
- এ টপোলজি কিছুটা জটিল ধরনের।
- রুট বা সার্ভার কম্পিউটারে সমস্যা দেখা দিলে ট্রি নেটওয়ার্কটি অচল হয়ে যায়।
মেশ টপোলজি (Mesh Network Topology) কি?
মেস টপোলজির ক্ষেত্রে নেটওয়ার্কের অধীনে প্রত্যেক কম্পিউটার প্রত্যেক কম্পিউটারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকে। যদি কোনো সময় যোগাযোগের একটি পথ নষ্ট হয় তবে বিকল্প আরেকটি পথ থাকে যোগাযোগের জন্য।
সুবিধা−
- যেকোনো দুটি নোডের মধ্যে খুব দ্রুতগতিতে সংকেত আদান-প্রদান করা যায়।
- কোনো কম্পিউটার বা সংযোগ লাইন নষ্ট হয়ে গেলে তেমন কোনো অসুবিধা হয় না। অর্থাৎ সহজে নেটওয়ার্ক খুব বড় ধরনের সমস্যা সৃর্ষ্টি হয় না।
- এতে ডেটা কমিউনিকেশনে অনেক বেশি নিশ্চয়তা থাকে।
- নেটওয়ার্কের সমস্যা খুব সহজে সমাধান করা যায়।
অসুবিধা−
- এ টপোলজিতে নেটওয়ার্ক ইনস্টলেশন ও কনফিগারেশন বেশ জটিল।
- নেটওয়ার্কে অতিরিক্ত লিংক স্থাপন করতে হয় বিধায় এতে খরচ বেড়ে যায়।
হাইব্রিড টপোলজি (Hybrid Network Topology) কি?
একাধিক বিভিন্ন টপোলজি নিয়ে গড়ে ওঠা নেটওয়ার্কে হাইব্রিড টপোলজি বলে । উদাহরণস্বরূপ- ইন্টারনেটকে হাইব্রিড টপোলজি হিসেবে বলা যায়। ইন্টারনেট একটি হাইব্রিড নেটওয়ার্ক কেননা ইন্টারনেট হলো বৃহৎ পরিসরের একটি নেটওয়ার্ক যেখানে সব ধরনের টপোলজির মিশ্রণ দেখা যায়।
সুবিধা-
- এ টপোলজিতে প্রয়োজনানুযায়ী নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে।
- কোনো সমস্যা দেখা দিলে তা সহজেই নির্ণয় করার সম্ভব হয়।
- কোনো এক অংশ নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক নষ্ট না হয়ে অংশবিশেষ নষ্ট হয়ে যায়।
হাইব্রিড টপোলজি ব্যবহারের অসুবিধা-
- এ টপোলজিতে ব্যবহৃত হাব (hub) বা সুইচ (switch) সমূহ সর্বদা সচল রাখতে হয়।
- নেটওয়ার্ক স্থাপন জটিল ও ব্যয়বহুল।